
২০২০ সালের ৯ নভেম্বর এএসপি আনিসুল করিম শিপনের মৃত্যুর ঘটনায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের (এনআইএমএইচ) রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ সামিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র পাঠ ের পর জামিনে থাকা আবদুল্লাহসহ ১৩ জন নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
এর আগে তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক।
অপর আসামি সাখাওয়াত হোসেন রিমন বিদেশে গিয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে তার অনুপস্থিতিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশন হাসপাতালের পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, আবদুল্লাহ আল মামুন ও সাজ্জাদ আমিন। মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়; কো-অর্ডিনেটর রেদওয়ান সাব্বির সজীব; রান্নাঘরের কর্মী মাসুদ খান; ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল ও সাইফুল ইসলাম পলাশ; প্রহরী লিটন আহমেদ; আর ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।
আগামী ৯ নভেম্বর এই মামলার বিচার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এফআইআরে নাম থাকা নুসরাতের সম্পৃক্ততা তদন্তে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়। অপর আসামি নিয়াজ মোর্শেদও তার মৃত্যুর কারণে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক একেএম নাসির উল্লাহ গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
এএসপি শিপন ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকশন হাসপাতালে মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হন। এ ঘটনায় শিপনের বাবা ফাইজউদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় হাসপাতালের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।