মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত বাংলাদেশের অর্থনীতি উন্নয়নের প্রয়াসে ক্রমবর্ধমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এটি একটি শ্রম নিবিড় এবং দ্রুত ফলনশীল ক্ষেত্র যার বৃদ্ধি বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বাংলাদেশ বর্তমানে মৎস্য ও প্রাণি খাত থেকে বিপুল পরিমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে।

দেশের শিল্প খাতে গবাদি পশুর চামড়া, হাড়, দাঁত ব্যাবরিত হচ্ছে বহুদিন থেকে এছাড়া খাদ্য চাহিদা পূরণে মৎস ও প্রাণী খাত বিশাল উৎস। মৎস ও গবাদি পশুর মাংস ও দুধ আমাদের দেহের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে আসছে।

প্রাণিসম্পদ

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদের ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণিসম্পদের দিক থেকে বাংলাদেশ অত্যন্ত সমৃদ্ধশীল, এদেশের গৃহপালিত পশুগুলোর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া উল্লেখযোগ্য। গ্রাম অঞ্চলে অনেক দরিদ্র পরিবার গৃহপালিত পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছে বহুকাল ধরে।

শহরাঞ্চলেও বড় বড় ডেইরি খামার গড়ে উঠেছে যা থেকে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার দেশে ও বিদেশে খাবারের চাহিদা পূরণ করছে এছাড়া গবাদিপশুর চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যা দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছে।

এছাড়া গৃহপালিত পশু যেমন: গরু, মহিষ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে মাঠে লাঙ্গল চাষ দিতে, তাছাড়া গরু ও মহিষ এর গোবর উৎকৃষ্ট সার হিসেবে ব্যবহারের হলে কৃষিষেত্রে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব হচ্ছে যা দেশের অর্থনীতিকে ত্বরান্বিত করছে।

বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০% মানুষ জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে গৃহপালিত প্রাণী ও হাঁস-মুরগি পালন এর উপর নির্ভরশীল। সুতরাং বলাযেতে পারে প্রাণিসম্পদ এদেশের দরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহের একটি বড় অবলম্বন।

সম্প্রতি প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশে গরুর সংখ্যা ২৫.৭ মিলিয়ন, মহিষ রয়েছে ০.৮৩ মিলিয়ন, ১৪.৮ মিলিয়ন ছাগল, ১.৯ মিলিয়ন ভেড়া, ১১৮.৭ মিলিয়ন মুরগি এবং ৩৪.১ মিলিয়ন হাঁস। প্রতি একর প্রাণি-পাখির ঘনত্ব প্রতি একর জমিতে ৭.৩৭।

বছরের পর বছর এদেশে প্রাণি-পাখির ঘনত্ব বেড়েছে।প্রাণি-পাখির ঘনত্ব পৃথিবীর যেকোনো দেশের পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বেশি। অন্য এক পরিসংখ্যানে দেখা যে বাংলাদেশে প্রতিটি পরিবারে গড়ে ১.৫টি গরু-মহিষ, ০.৯টি ছাগল-ভেড়া ও হাঁস-মুরগি রয়েছে ৬.৮টি।

পাখিদের জীবন সম্পর্কে বিশ্লেষণ করলে, বলা যেতে পারে বাংলাদেশ পাখিদের এক স্বর্গরাজ্য। প্রচুর পরিমাণে পাখি এদেশে বসবাস করছে, এছাড়া শীতকালীন সময় বিভিন্ন দেশ থেকে পাখিরা এসে এদেশে আচরোয় নেয়, যে পাখিদের আমরা অতিথি পাখি বলি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বাংলাদেশে ৫২৫ প্রজাতির পাখি রয়েছে, এর মধ্যে ৩৫০ টি আবাসিক।দোয়েল, বুলবুলি, চরই, বাবুই, কোকিল, বাজপাখী, পেঁচা, কাক, মাছরাঙা, গাঙচিল, বাজ, কবুতর, কাটঠোকরা, তোতা এবং ময়না, কোয়েল, বক, ছিল, টিয়া, শালিক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন ধরণের ওয়ার্বলারের সন্ধানও পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে কিছু অভিবাসী এবং কেবল শীতে প্রদর্শিত হয় এছাড়া কিছু মৌসুমী প্রজাতির পাখি দেখা যায়।

বন্যপ্রাণীর কথা উল্লেখ করলে, দেখা যায় বাংলাদেশে ২০০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে। যার মধ্যে এই স্থানের গর্ব সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এটি ৬,০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়া লিটারাল বনের বৃহত্তম ব্লক।

এর পরে আসে মূলত চাট্টোগ্রাম পার্বত্য জেলা জেলার বনাঞ্চলে পাওয়া হাতিগুলি। দক্ষিণ হিমালয়ের কালো ভাল্লুক এবং মালায়ান ভালুকও এখানে দেখা যায়। পার্বত্য অঞ্চল এবং সুন্দরবনে ছয় ধরণের হরিণ পাওয়া যায়। এর মধ্যে দাগযুক্ত হরিণ, ছালার হরিণ সবচেয়ে পরিচিত। মেঘযুক্ত চিতা, চিতা বিড়াল, মঙ্গুজ, স্যাকাল এবং শিয়াল, বানরও পাওয়া যায়।

গহ্বর প্রাণীগুলির মধ্যে তিনটি প্রজাতি- মহিষ, গরু এবং গয়াল পাওয়া যায়। প্রায় দেড়শ প্রজাতির সরীসৃপ রয়েছে যার মধ্যে সমুদ্রের কচ্ছপ, নদীর কাছিম, কাদা কচ্ছপ, কুমির, গাভিয়াল, অজগর, ক্রেইট এবং গোখরা প্রচলিত রয়েছে। প্রায় ২০০ প্রজাতির সামুদ্রিক এবং মিঠা পানির মাছও পাওয়া যায়। চিংড়ি এবং গলদা চিংড়ি স্থানীয় ব্যবহার এবং রফতানির জন্য প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এগুলি হলো গবাদি প্রাণি স্বাস্থ্য সেবা, প্রাণি-সহায়ক কার্যক্রম, প্রাণি-সন্বন্ধীয় জীববস্ত্তর বিলিব্যবস্থা, মানসম্পন্ন উৎপাদনের বিস্তরণ, প্রাণিসম্প্রসারণ সেবা এবং সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে অধিকতর সহযোগিতা।

প্রাণির বিবিধ স্বাস্থ্যসমস্যা, যেমন রোগ শনাক্তকরণ, চিকিৎসা, রোগ নিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ মোকাবিলা ইত্যাদি প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের সঙ্গে জড়িত কয়েকটি প্রধান দিক। এগুলি ছাড়াও আরও কিছু অপরিহার্য দিকও রয়েছে, যেমন জাত উন্নয়নের মাধ্যমে প্রাণির শ্রীবৃদ্ধি, কৃত্রিম গর্ভাধান, প্রযুক্তি হস্তান্তর ইত্যাদি।

এছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তিগত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে বাংলাদেশে নানা সংস্থা গড়ে উঠছে। বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমে শরিক হতে পারে।

বাংলাদেশের গরুর দেশী জাতগুলি উচ্চফলনশীল নয়, এগুলো থেকে পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ ও মাংস পাওয়া জাস্ছে না। ব্রিটিশ শাসন আমলে ভারতবর্ষে লর্ড লিনলিথগো দেশী গরু উন্নয়নের জন্য বাংলা প্রদেশে কয়েকটি হরিয়ানা গরু বিদেশ থেকে আমদানি করেন।

১৯৪৭ সালের পরবর্তীকালে বাংলা প্রদেশে সিন্ধি, শাহীয়াল, থারপার্কার ইত্যাদি কয়েক জাতের গরু আনা হয়। দেশ গরুর জাতগুলি উন্নয়নের জন্য ১৯৫৮ সালে কৃত্রিম গর্ভাধান শুরু করা হয়।অস্ট্রেলীয় সরকারের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে হোলস্টেন ফ্রিসিয়ান জাতের কিছু প্রজনক ষাঁড় ও দুধেল গাই আমদানি করা হয়।

জার্মান বিশেষজ্ঞরা ১৯৬৯-১৯৮২ সাল পর্যন্ত সাভার গবাদি প্রাণির খামারে হালচাষ/ভারবাহী ষাঁড় ও দুধেল গাইয়ের উপযুক্ত জাত উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া জার্মানি, আমেরিকা, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান থেকে দেশী গরু উন্নয়নের জন্য বস টাউরাস প্রজাতির ষাঁড়ের হিমায়িত শুত্রুও আনা হয়েছিল।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সির (JICA) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের বিজ্ঞানীরা সাফল্যের সঙ্গে ভ্রূণ সংস্থাপন করেন। যার ফলশ্রুতিতে বর্তমানে বড় বড় ডেইরি খামারগুলোতে উন্নতমানের গবাদি পশু পালন করা হচ্ছে, যা আমাদের দেশের অর্থনীতিকে আরো সমৃদ্ধ করছে।

মৎস সম্পদ

মৎস্য

নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। দেশের শহরে ও গ্রামের আনাচে-কানাচে রয়েছে অসংখ্য পরিমানে নদী-নালা, খাল-বিল, হাওর-বাওর, পুকুর-ডোবা ও পুকুর। তার দক্ষিণে রয়েছে সুবিশাল সমুদ্র। দেশের সর্বত্র মৎস্য উৎপাদনের জন্য সুবিশাল ক্ষেত্র পড়ে আছে।

সুতরাং বলা যায়, আমাদের দেশ বিশাল এক জলসম্পদে সমৃদ্ধ। এসব জলাশয়ে চাষ করা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। মাছ বাঙালিদের প্রিয় খাদ্য। তাই আমাদের দেশের মানুষকে বলা হয় মাছে-ভাতে বাঙালি।

এদেশে প্রতি বছর প্রচুর পরিমানে মৎস উৎপাদন হচ্ছে যা বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে, এর ফলে মৎস্যখাত থেকে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতিকে করছে সমৃদ্ধ। বর্তমানে এদেশের মৎস্যসম্পদের পরিমাণ দিন দিন কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে ব্যাপক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও মাছ চাষের ক্ষেত্রে তেমন কোনাে পরিকল্পনা বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। তাই সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি, সমৃদ্ধি, আত্মকর্মসংস্থান প্রভৃতির উপর বিবেচনা করে এ সম্পদের প্রতি নজর দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশের মৎস্য সম্পদ

এদেশের মানুষের খাদ্যে মাছ প্রানিজ আমিষের প্রধান উৎস, এছাড়া মাছ আমাদের দেশের প্রধান প্রাণিজ সম্পদ। বাংলাদেশের স্বাদু পানিতে ২৭০ প্রজাতির মাছ রয়েছে। সরকারী উদ্যোগে বাংলাদেশে ৮৬ টি মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হ্যাচারী ও খামার গোড়ে উঠেছে।

দেশের একমাত্র মৎস্য গবেষণা ইনষ্টিটিউট ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। বাংলাদেশের নদী-নালা, খালবিল, পুকুর, হাওড় ও জলাশয়ে মূলত মিঠা পানির মাছ চাষ করা হয়। এদেশে মিঠা পানির জলাশয়ের পরিমাণ আনুমানিক: ৭,২৪০ কিলােমিটার দীর্ঘ নদী, প্রায় ছয় লক্ষ পুকুর, এবং অসংখ্য খাল-বিল ও হাওড়। এছাড়া বাংলাদেশে সামুদ্রিক জলাশয়ের মোট আয়তন ১,৬৬,০০০ বর্গ কি.মি। বঙ্গোপসাগরে চারটি মৎস্য চারণ ক্ষেত্র রয়েছে।

বর্তমানে মোট মৎস্য উৎপাদনের শতকরা ২৭ ভাগ মাছ সমুদ্র উপকুল থেকে পাওয়া যায়। মৎস্য আহরণ, বাজারজাতকরণ ও ব্যবসায়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করার সাথে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত।

বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা ৫ ভাগ আসে মৎস্যখাত থেকে। ২০১৩ সনের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের বার্ষিক মৎস্যের উৎপাদন হলো ১৫,২৪,০০০ টন।জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) কর্তৃক ২০১৩ সানে প্রকাশিত The Global Aquacuture Production Statistics for the year 2011 শীর্ষক এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ পঞ্চম স্থানে রয়েছে মাছ উৎপাদনে ক্ষেত্রে ।

মৎস্য উৎপাদন

বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে মৎস্য খাত একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বাংলাদেশের মোট জাতীয় উৎপাদনের শতকরা ৫ ভাগ আসে মৎস্যখাত থেকে যেখানে কৃষির উৎপাদন থেকে আসে শতকরা ২১ ভাগ। জাতীয় রফতানি আয়ে মৎস্য খাতের শরিকানা শতকরা প্রায় ৪ ভাগ।

মাছ এদেশের মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রাণিজ আমিষের ৫৮% চাহিদা মেটায়। বাংলাদেশের শ্রমশক্তিতে জড়িত প্রায় ১৩ লাখ মানুষ সার্বক্ষণিকভাবে এবং ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষ খন্ডকালীনভাবে মৎস পেশার সাথে জড়িত। এদেশের মানুষের কর্মসংস্থানে, দারিদ্র্য মোচনে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্যখাতের ভূমিকা অপরিহার্য।

বাংলাদেশের মৎস্য উৎপাদনের ক্ষেত্র মূলত ২ ধরণের অভ্যন্তরীণ ও সামুদ্রিক ভাগ। মুক্ত জলাশয় ও বদ্ধ জলাশয় এই ২ ভাগে ভাগ করা হয় আবার অভ্যন্তরীণ উৎসকে। প্লাবন ভূমি, নদী, বিল, কাপ্তাই হ্রদ ও সুন্দরবন ইত্যাদি জলাশয়কে মুক্ত জলাশয়ের আওতাভুক্ত করা হয়।

মুক্ত জলাশয়ের আয়তন ৪০.৪৭ লাখ হেক্টর, যা মোট অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের ৮৮.৪৬ শতাংশ। পুকুর, নদী, খাল, বিল, হাওর বা বাঁওড় ও উপকূলীয় চিংড়ি খামারকে বদ্ধ জলাশয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বদ্ধ জলাশয়ের আয়তন ৫.২৮ লাখ হেক্টর। এছাড়া বাংলাদেশে সামুদ্রিক জলাশয়ের মোট আয়তন ১,৬৬,০০০ বর্গ কি.মি, যা দেশের মোট জলসম্পদের শতকরা ৭৮.৩৯ভাগ।