মধ্য গাজার শুজায়া এলাকায় একটি আশ্রয়কেন্দ্রে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সিএনএন শুক্রবার এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানিয়েছেন, দালাল আল-মুগরাবি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। এখানে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
তিনি সিএনএনকে বলেন, স্কুলের ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও লাশ রয়েছে। এখানে হাজার হাজার বেসামরিক লোক অবস্থান করছিল। এখন পুরো স্কুলটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানায়, স্কুলটি হামাস কমান্ডার ও তাদের সহযোগীদের আস্তানা হিসেবে এবং ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল।
হতাহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও সিএনএনের হাতে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গাড়িতে করে নিহত ও আহতদের আল-আহলি ব্যাপ্টিস্ট হাসপাতালের প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হচ্ছে।
এর আগে দালাল আল-মুগরাবি স্কুল ও পার্শ্ববর্তী একটি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্র ইসরায়েলি হামলায় গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এরপরও শত শত ফিলিস্তিনি আবারও সেখানে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করতে ফিরে আসে।
এছাড়া, মধ্য গাজা ও নুসিরাতে ইসরায়েলি পৃথক বিমান হামলায় দুই শিশু নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শিশু দুটির মরদেহ স্থানীয় আল-আওদা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সিএনএনের ফুটেজে দেখা গেছে, আহত শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় ফিলিস্তিনিরা চিৎকার করছে, যা হাসপাতালে ভারী আবহ সৃষ্টি করেছে।