ইসরায়েলি বিমান হামলায় গাজায় অন্তত ৩৮ জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বেসামরিক প্রতিরক্ষা অফিস এ তথ্য জানায়।

হামাসের এক মুখপাত্র জানান, গাজার আল শাতি শরণার্থীশিবিরে একটি আবাসিক ব্লকে কয়েকবার বিমান হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়াও আল-তুফফা এলাকার ঘরবাড়ি লক্ষ্য করে পৃথক বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে জানায় গাজার গণমাধ্যম অফিস।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, তাদের যুদ্ধবিমানগুলো হামাসের সামরিক স্থাপনাগুলোতে আঘাত করেছে। ইসরায়েলি মিডিয়ার তথ্যমতে, হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

হামাসের মুখপাত্র হুসেইন মুহাইসিন এএফপিকে জানান, হামলায় অনেক বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং অনেক পরিবার ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে। আহতদের অনেককেই হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আটকে পড়া লোকদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে।

উদ্ধারকাজে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, জ্বালানি ও অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে সমস্যা হচ্ছে।

এদিকে, গাজায় গত শুক্রবার রেডক্রসের (আইসিআরসি) কার্যালয়ে গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল নিন্দা জানিয়েছেন। আইসিআরসি জানিয়েছে, হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছেন যারা রেডক্রস কার্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। জোসেফ বোরেল এই হামলার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে গতকাল শনিবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করে, দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় গোলাগুলির প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে সেখানে রেডক্রসের ভবনে সরাসরি কোনো হামলা চালানো হয়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস, যেখানে ১২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই দিন থেকেই গাজায় বিধ্বংসী হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু।