একটি মাতা, ওয়াফা এলওয়ান, তার সাত সন্তানকে নিয়ে গাজায় একটি তাঁবুতে থাকেন। সেখানে তার পাঁচ বছর বয়সী ছেলে ঘুমাতে পারে না। উদ্বিগ্ন ওই মা বলেন, ‘আমার ছেলে রাতটার শেষে ঘুমাতে পারে না। সে পুরো রাত তার শরীরে আগুনের মত ধরে কাটছে।’

ছেলেটির পাজুড়ে সাদা এবং লাল দাগ এবং শার্টের নিচে আরও অনেক দাগ রয়েছে। সে গাজার অনেকের মধ্যে একজন, যাদের ত্বকে সংক্রমণ ছড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে, যাদের মধ্যে খোসপাঁচড়া থেকে শিশু পক্ষপাত, ইমপেটিগো, ফুসকুড়ি রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেড় লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি মানুষ চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

এলওয়ান বলেন, ‘আমরা মাটিতে, বালিতে ঘুমাই, যেখানে আমাদের নিচ থেকে কীট বেরিয়ে আসে।’

তার পরিবার অন্য হাজারো পরিবারের সঙ্গে দেইর এল-বালাহ শহরের কাছে সমুদ্রের ধারে একটি বালুকাময় স্থানে বসবাস করছে। তিনি এখন সংক্রমণ অনিবার্য বলে বিশ্বাস করেন জানিয়ে বলেন, ‘আমরা আমাদের বাচ্চাদের আগের মতো গোসল করাতে পারি না। স্থানটি পরিষ্কার ও স্যানিটারি জনিত সুযোগ থাকবার অভাব সমস্যা হিসেবে আসে। কোনো পরিষ্কার ও স্যানিটারি পণ্য নেই। আমরা কিছুই পাই না।’

এমন পরিস্থিতিতে সেখানের মা-বাবারা তাদের সন্তানদের ভূমধ্যসাগরে গিয়ে গোসল করতে বলেন। যুদ্ধের প্রভাবে যে দূষণ তৈরি হয়েছে, তার ফলে সুযোগ-সুবিধাগুলো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে এবং রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।

এলওয়ান আরো বলেন, ‘সমুদ্র পুরোটাই এখন বর্জ্য হয়ে গিয়েছে। এমনকি আবর্জনা ও শিশুদের ন্যাপকিনও সমুদ্রে ফেলা হয়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানানোঃ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ৯৬,৪১৭টি খোসপাঁচড়া ও উকুনের, ৯,২৭৪টি চিকেন পক্সের, ৬০,১৩০টি ত্বকের র‌্যাশের এবং ১০,০৩৮টি ইমপেটিগোর কেস রেকর্ড করা হয়েছে।

দেইর এল-বালাহ ক্যাম্পে অস্থায়ী ক্লিনিকের পরিচালক ফার্মাসিস্ট সামি হামিদ (৪৩) জানান, খোসপাঁচড়া ও চিকেন পক্সে ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ব্যাপক ছড়ানো হয়েছে। ক্লিনিকের দুই ছেলের হাতে, পায়ে, পিঠে ও পেটে অনেক ফোসকা ও দাগ