গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরায়েল। দীর্ঘ প্রায় আট মাসের এই যুদ্ধে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে গাজা। বাড়িঘর, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল সবকিছুই গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। জাতিসংঘের তথ্যমতে, উপত্যকার ৭০ শতাংশের বেশি স্থাপনা ধ্বংস করেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের নৃশংসতায় ওই উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ হাজার ৪৩৯ ফিলিস্তিনি। তাদের ৬০ শতাংশের বেশিই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ৮২ হাজার ৬২৭ জন।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুদ্ধে সাফল্য অর্জনে স্পষ্টত ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েল। গাজায় কাজ করছে না ইসরায়েলি সামরিক কৌশল।
এ বিষয়ে দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ওমর আশুর বলেছেন, ইসরায়েলের সামরিক কৌশল তিন টাকার কৌশলের উপর নির্মিত: এর মধ্যে রয়েছে- গাজার কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করা, যার মধ্যে এক কিমি প্রশস্ত বাফার জোন, গাজাকে পূর্ব এবং পশ্চিমে ভাগ করার জন্য সালাহ আল-দিন রাস্তা বরাবর অবস্থান নেওয়া নেটজারিম করিডোর দখলে নেওয়া, এসব জায়গায় তাদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করা এবং তারপরে গোয়েন্দা-নেতৃত্বাধীন অভিযান পরিচালনা করা, যার লক্ষ্য হামাসের সেল এবং অন্যান্য সামরিক গোষ্ঠীকে ক্ষয় ও ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, “তারপর যখন তাদের বাহিনী ক্লান্ত হয়ে যায়, পুনরায় মোতায়েন করা এবং অভিযান অব্যাহত রাখা এবং এভাবে পুনরাবৃত্তি ঘটানো।”
ওমর আশুর বলেন, “কিন্তু জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে আমরা যা দেখেছি ইসরায়েলের এই কৌশল কাজ করছে না। এই সামরিক কৌশল আরও বেশি বেসামরিক মৃত্যুর কারণ হচ্ছে এবং নেতানিয়াহু সরকারের উপর আরও বেশি আন্তর্জাতিক চাপের তৈরি করছে।”
“স্পষ্টতই, তারা রাফাতেও তাদের সামরিক লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি,” কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এসব কথা বলেছেন আশুর।