ঘূর্ণিঝড় রিমালের ভয়াল তাণ্ডবে পাঁচ জেলায় মোট সাতজনের প্রাণহানি ঘটেছে। বরিশালে দুইজন, ভোলায় দুইজন, এবং চট্টগ্রাম, পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরায় একজন করে প্রাণ হারিয়েছেন।

বরিশাল: বরিশাল নগরীতে তিনতলা ছাদের উপর দেয়াল ধসে পাশের একটি খাবার হোটেলের উপর পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে নগরীর রুপাতলী লিলি পেট্রোল পাম্পের পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন হোটেল মালিক লোকমান হোসেন ও কর্মচারী মোকছেদুর রহমান। আহত কর্মচারী সাকিবকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভোলা: লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ঘরের নিচে চাপা পড়ে মনেজা খাতুন (৫৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার রাত ৪টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এছাড়া, দৌলতখান উপজেলায় গাছ উপড়ে পড়ে মাইশা (৪) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার চন্দ্রনগর কলাবাগান এলাকায় দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম হৃদয় (২৬) নামে এক যুবক মারা গেছেন।

পটুয়াখালী: কলাপাড়া উপজেলার ধূলাসর ইউনিয়নের কাউয়ারচর এলাকায় পানির তোড়ে ভেসে মো. শরীফ হাওলাদার নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

সাতক্ষীরা: শ্যামনগর উপজেলায় নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাওয়ার সময় শওকাত মোড়ল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য:
– বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
– লালমোহন থানার ওসি এস এম মাহবুব উল আলম জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
– দৌলতখান থানার ওসি সত্য রঞ্জন খাসকেল বলেন, গাছ চাপা পড়ে শিশু মৃত্যুর খবর পেয়েছি।
– ফায়ার সার্ভিসের বায়েজিদ বোস্তামী স্টেশনের ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান জানান, সাইফুল রিকশা চালাতেন এবং টানা বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসে পড়েছে।
– পটুয়াখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল জানিয়েছেন, শরীফ হাওলাদার ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন।
– শ্যামনগর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শওকাত মোড়ল মারা গেছেন।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েছে এবং বহু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয়েছে।