ঘূর্ণিঝড়ে পূর্ব সুন্দরবনের করমজল বন্য প্রাণী প্রজনন ও পর্যটন কেন্দ্রের নানা অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, রিমালের তাণ্ডবে পর্যটকদের চলাচলের কাঠের পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অসংখ্য গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়েছে। তবে পুরো সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
খুলনার কয়রা সবুজ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সুন্দরবন যেন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকার প্রকৃতির নির্মিত দেয়াল। প্রতিবারই ঝড়ের সামনে বুক চিতিয়ে লড়াই করে সুন্দরবন। এবারও তাই করেছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব ঠেকিয়ে দিয়ে খুলনার কয়রা অঞ্চলকে বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা করেছে। তবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে সুন্দরবন প্লাবিত হয়েছে এবং গাছপালা ও বিভিন্ন প্রাণীর ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পানিতে লবণাক্ততার কারণে সামনের দিনগুলোতে পশুপাখির পানির সংকট তৈরি হতে পারে।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন,
“ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রাকৃতিক ঢাল হিসেবে কাজ করে সুন্দরবন। এবারও সেটি করেছে। তবে বনের ভেতর গাছপালা ও পশুপাখির ক্ষতি হয়েছে।”