সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্তকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেছে।

বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (৫ জুন) এই রায় ঘোষণা করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে একটি পরিপত্র জারি করে।

আদেশে বলা হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।

কোটা পদ্ধতি বাতিলের এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এ সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।

সরকার ২০১৮ সালের ২ জুলাই, কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা দীর্ঘদিনের। ১৯৭২ সালের ৫ নভেম্বর এক নির্বাহী আদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের জন্য কোটা পদ্ধতি চালু করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে এ কোটা পদ্ধতির সংস্কার ও পরিবর্তন করা হয়।

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনি ৩০ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ১ শতাংশ, নারী ১০ শতাংশ, পশ্চাৎপদ জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা ছিল।