সব প্রক্রিয়া শেষে চূড়ান্ত ছাড়পত্র নিয়েও কয়েক হাজার কর্মী মালয়েশিয়া যেতে না পারার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনে প্রাথমিক শুনানির পর বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই মৌখিক আদেশ দেন। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আগামী সাত দিনের মধ্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়কে এ তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ ও আইনজীবী বিপ্লব পোদ্দার।
পরে আইনজীবী তানভীর সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হলেও কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। যে কারণে রিট করা হয়েছে। রিটটি উপস্থাপনের পর আদালত মৌখিক আদেশ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা এক সপ্তাহের মধ্যে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানাতে বলেছেন।
১৫ বছরে তিন দফায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছে। প্রতিবারই শ্রমিক পাঠানোর ক্ষেত্রে চক্র বা সিন্ডিকেট গঠনের বিষয়টি সামনে এসেছে। এরপর চক্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ ওঠে।
২০০৯ সালে প্রথম দফায় বন্ধ হয় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
এরপর ২০১৬ সালের শেষে খোলা হয় বাজারটি। তখন বাংলাদেশের ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি চক্র গড়েছিল। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে আবার বন্ধ হয়ে যায় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। ২০২২ সালে আবার মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খোলে।
চলতি বছর মার্চে মালয়েশিয়া জানায়, দেশটি আপাতত আর শ্রমিক নেবে না।
যারা অনুমোদন পেয়েছেন, ভিসা পেয়েছেন, তাদের ৩১ মের মধ্যে মালয়েশিয়ায় ঢুকতে হবে। ১ জুন থেকে বন্ধ হয়ে গেছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আপাতত নতুন করে কোনো কর্মী যেতে পারবেন না দেশটিতে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) থেকে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ কর্মীর ছাড়পত্র নিয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ কর্মী মাল