ইসরায়েলি বাহিনী হামাসকে নির্মূলের অংশ হিসেবে উত্তর গাজার আল-আওদা হাসপাতালে হামলা চালাচ্ছে। বর্তমানে সেখানে খাওয়ার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা কাউকে হাসপাতালে ঢুকতে বা বের হতে দিচ্ছে না।
আজ সোমবার আল জাজিরা এই তথ্য জানিয়েছে।
উত্তর গাজায় এখনো কার্যক্রম চালু থাকা অল্প কয়েকটি হাসপাতালের মধ্যে আল-আওদা অন্যতম। মানবিক সহায়তা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স (এমএসএফ) জানিয়েছে, হাসপাতালে খাওয়ার পানি ফুরিয়ে গেছে। পার্শ্ববর্তী জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে শনিবার ইসরায়েলি বিমান হামলার পর অন্তত ৩৪ জন আহত রোগী এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন।
ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা নিউজ এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, রোববার থেকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হাসপাতালে কামানের গোলা ছুঁড়তে শুরু করে। এরপর তারা পুরো হাসপাতাল ঘিরে ফেলে।
এজেন্সিটি আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতালের আশেপাশের এলাকা বুলডোজার দিয়ে ধ্বংস করেছে।
এই হামলার ফলে হাসপাতালে কোনো চিকিৎসাকর্মী বা সাধারণ মানুষ বের হতে পারছে না এবং নতুন করে কাউকে ঢুকতেও দেওয়া হচ্ছে না।
খান ইউনিসের ইউরোপীয় হাসপাতালেও পানি শেষ হয়ে এসেছে বলে জানা গেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ জানিয়েছে, গাজার ২১টি হাসপাতাল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রয়েছে এবং আরও ১৫টি হাসপাতাল আংশিকভাবে চালু আছে।
উত্তর গাজার ২টি, গাজা সিটির ৫টি, দেইর আল বালাহ’র ৩টি, খান ইউনিসের ৩টি এবং রাফার ২টি হাসপাতাল আংশিকভাবে কার্যকর রয়েছে।