প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে হাইকোর্টের রায় আপাতত বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। একইসঙ্গে, আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি আগামী ৪ জুলাই নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু, আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। এর আগে, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করে।
গত ৫ জুন, হাইকোর্ট সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি পরিপত্র জারি করে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহম্মদের স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়:
(ক) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হবে; এবং
(খ) ৯ম গ্রেড (পূর্বতন ১ম শ্রেণি) এবং ১০ম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন ২য় শ্রেণি) পদে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হবে।
এই আদেশ ‘অবিলম্বে কার্যকর হবে’ বলেও উল্লেখ করা হয়।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর, সরকার নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডের নিয়োগে ৪৫ শতাংশ কোটা তুলে দিয়ে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়। কোটা পর্যালোচনা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।