ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনের গাজা নগরীর বাসিন্দাদের আবারও বাড়িঘর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু পালানোর চেষ্টা করলে রাস্তায় গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহও সরাতে দিচ্ছে না ইসরায়েলি বাহিনী।

একজন নারী বলেন, শুজাইয়া শহরতলির ইয়ারমুক স্টেডিয়াম হয়ে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেন। তাঁকে বলা হয়, সেখানে ইসরায়েলি স্নাইপারদের গুলিতে নিহত ফিলিস্তিনিদের মরদেহ পড়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, “আমরা মরদেহগুলো সরাতে প্যারামেডিক এবং ফায়ার সার্ভিসের সহায়তা চাই। রাস্তা থেকে মরদেহ না সরালে কুকুরে খাবে। মরদেহগুলো দাফন করা উচিত।”

আরেক বাসিন্দা বলেন, মরদেহগুলোর কাছে পৌঁছাতে পারেননি প্যারামেডিকরা। নির্দেশনা না থাকায় মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ মরদেহের কাছে গেলে গুলি করা হচ্ছে।

কয়েকজন বাসিন্দা জানান, ইসরায়েলি স্নাইপাররা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া এক ব্যক্তিকে মাথায় গুলি করে হত্যা করে। পরে কয়েকজন মরদেহটি উদ্ধার করতে সমর্থ হন। একজন বাসিন্দা বলেন, “ওই লোক শান্তভাবে হেঁটে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ মাথায় গুলি লাগে। পরে আমরা মরদেহটি নিয়ে আসি।”

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতিনিয়ত হতাহত বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় মোট ৩৮,৩৪৫ জন নিহত এবং ৮৮,২৯৫ জন আহত হয়েছেন।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ পশ্চিমা দেশগুলোকে গাজা নিয়ে দ্বিচারিতা প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমরা যদি ইউক্রেনকে সমর্থন করি আন্তর্জাতিক আইন সুরক্ষার জন্য, তাহলে গাজার ক্ষেত্রেও একই মানদণ্ড প্রযোজ্য করতে হবে। দ্বিচারিতা থাকা উচিত নয়।” অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধবিরতির পরিবেশ তৈরি প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।