পদ্মা সেতুর দ্বারা যানবাহনের চলাচল শুরু হওয়ার পর মাত্র ২ বছরে টোল হিসেবে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, এটা সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২৪ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার হয়েছে।

রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনের অডিটরিয়ামে মঙ্গলবার দুপুরে একটি সংবাদ সম্মেলনে সেতুমন্ত্রী এসব তথ্য উপস্থাপন করেন। তিনি এ আগে সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই পদ্মা সেতুর মোট নির্মাণ খরচ হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। দেশের মানুষের কাছে এই সেবা থেকে অনেক সুবিধা হয়েছে, যেহেতু ২১টি জেলার ৩ কোটি মানুষ এখন সহজেই পদ্মা সেতু ব্যবহার করতে পারছেন। সেতুর টোল থেকে আয় হয়েছে ৯৪৮ কোটি টাকা, যা অতিরিক্ত ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগকে পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার সপ্তম কিস্তির ৩১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, “আজকের দিনটি আমাদের জন্য অনেক প্রতীক্ষিত। দুই বছর আগে এই দিনে পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসে নিজ অর্থায়নে এই পদ্মা সেতু করা হয়েছে।”

এছাড়াও, ২০২২ সালের ২৫ জুনে পদ্মা সেতু ওপর যানবাহন চলাচলের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন সাধারণ যানবাহন চলাচল শুরু হয়। গত বছর ১০ অক্টোবরে তিনি সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন, কিন্তু ট্রেনের সাথে যাত্রীদের চলাচল শুরু হয় গত বছর ১ নভেম্বরে।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জুনে। এর মধ্যে নদী শাসনের কাজের জন্য চীনা ঠিকাদারদের কাছে অতিরিক্ত এক হাজার কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে। এই বিষয়টি সেতু বিভাগের বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে, বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উ