গাজা যুদ্ধের মধ্যে ইসরায়েলের জন্য যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে এফ-১৫ যুদ্ধবিমানও।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এই অনুমোদন প্রদান করেছেন। অনুমোদিত অস্ত্রের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের এফ-১৫ যুদ্ধবিমান ও যন্ত্রপাতি, ৭৭ কোটি ৪০ লাখ ডলারের ট্যাঙ্ক কার্তুজ, ৬ কোটি ডলারের বেশি বিস্ফোরক মর্টার কার্তুজ এবং ৫৮ কোটি ডলারের সাঁজোয়া যান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এফ-১৫ যুদ্ধবিমানগুলি বোয়িং থেকে কেনা হবে, এবং এগুলোর নির্মাণে কয়েক বছর লাগবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৯ সাল থেকে এসব যুদ্ধবিমান সরবরাহ শুরু হবে। অন্য সরঞ্জামগুলো ২০২৬ সালের মধ্যে পাঠানো শুরু হতে পারে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু সরঞ্জাম ২০২৬ সালের আগেও পাঠানো হতে পারে।

পেন্টাগনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে নিরাপত্তা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইসরায়েলের উন্নয়ন, শক্তি এবং আত্মরক্ষার সক্ষমতা আমাদের জাতীয় স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করে যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, “ইসরায়েলের সামরিক শক্তি বজায় রাখতে এবং নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা অপরিসীম।”

ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে শক্তিশালী মিত্র এবং বৃহৎ অস্ত্র সরবরাহকারী। গাজাযুদ্ধের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করে আসছে, যা বর্তমানে গাজা যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ ও ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ করার কারণে যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে।