নির্বাচনী সমাবেশে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ঘটনায় তিনি ডান কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এফবিআই এই ঘটনাকে হত্যাচেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

শনিবার রাতে, পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক জানান, “সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর যে হামলা হয়েছে, সেটিকে আমরা হত্যাচেষ্টা বলছি।”

শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে, ট্রাম্প পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দেওয়ার সময় হামলার শিকার হন। তার ডান কানে গুলি লাগে, তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন।

এই আকস্মিক হামলার বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণার সময় আমার কানে গুলি করা হয়েছে। আমার মনে হচ্ছিল কান ঘেঁষে একটি বুলেট চলে গেল।”

হামলার পরপরই তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং তার মুখমণ্ডলে রক্ত দেখা যায়। সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা হামলাকারীকে গুলি করলে তিনি নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দু’জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “গুলির শব্দ শোনার পর আমরা একজন রাইফেলধারীকে ছাদে হামাগুড়ি দিতে দেখেছি।”

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, “গুলিতে ডান কানের ওপরের অংশে ফুটো হয়ে গেছে।” তিনি আরও বলেন, “হঠাৎ করেই আমি বুঝতে পারি যে কিছু একটা ঘটেছে। গুলির শব্দ শুনে মনে হচ্ছিল আমার চামড়া ভেদ করে গুলি চলে গেছে। অনেক রক্ত বের হচ্ছিল এবং আমি বুঝতে পারলাম কী ঘটেছে। ঈশ্বর আমেরিকার মঙ্গল করুন।”

ট্রাম্প সিক্রেট সার্ভিস এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান।